নতুন বছরের প্রথম প্রহরে মানুষের উল্লাস আর ফানুসের আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে এনামুলের সব স্বপ্ন। তিন দিন পর গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) কর্মস্থলে ফিরেছেন তিনি। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ওড়ানো এক ফানুস পুড়িয়ে দিয়েছে তাঁর ব্যবসার সম্বল, এখন তিনি ঋণের দায়ে দিশেহারা। সেই কষ্টে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তিন দিন কাজে আসেননি।

যাত্রাবাড়ীতে একটি কাঁচাবাজার আড়তে ব্যবস্থাপকের কাজ করেন তিনি। বেতন ২১ হাজার টাকা। পরিবার নিয়ে থাকেন মাতুয়াইলে। এনামুল হক বলেন, ‘তাঁদের (ক্রেতাদের) কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে হবে। একজনকে ফেরত দিয়েছি। বাকি দুজন টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। এখন কাঁচা সবজির ভরা মৌসুম। ঝুড়ি কিনবে। তাদের বলছি, কয়েক দিন সময় দেন।’ ছয় সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী এনামুল হক।

সন্তানদের লেখাপড়া, পিতামাতার চিকিৎসার খরচ, বাসাভাড়া, খাওয়ার খরচ—সবকিছু। তাই বাড়তি আয়ের পথ খুঁজছিলেন এনামুল হক। কাঁচাবাজারের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ঝুড়ি বিক্রিটাকেই আয়ের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। ঋণ করে শুরু করেন ব্যবসা। তিনি আরও বলেন, ‘ফানুস গুরুত্বপূর্ণ (কোনো) জিনিস নয়। কিন্তু এটা মানুষ উড়াইতেছে, আনন্দ করতেছে। এতে তো মানুষের ক্ষতি হইতেছে। তবে সরকারের কাছে আমার দাবি, এটা ভবিষ্যতে যাতে (মানুষ) না ওড়ায়। এটা বন্ধ করে দেওয়া হোক।’